প্রথমবার তামিম ইকবালে নেতৃত্বে বিপিএলের শিরোপা ঘরে তুলেছে ফরচুন বরিশাল। ফাইনালে মহারণে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় তারা। পুরস্কার বিতরণীতে দলের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমকে ডেকে নিয়ে তাদেরকে শিরোপা উৎসর্গ করেছেন যান তামিম।
ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক অবশ্য জানিয়েছেন দুই সিনিয়র ক্রিকেটারকে শিরোপা উৎসর্গের কারণ। বিপিএলের দশটি আসরেই খেলেছে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক। বরিশালের হয়ে শিরোপা জেতার আগে দুজনেই দুটি করে ফাইনাল খেলেছেন। তবে শিরোপার স্বাদ পাননি।
আক্ষেপ ছিল তাদের বটেই। তামিমের নেতৃত্বে শিরোপা জিতে সেই আক্ষেপ অবশ্য মিটেছে দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের। সে কারণেই তাদের শিরোপা উৎসর্গ করেছেন তামিম। উদযাপন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তামিম ব্যাখ্যা করেছন বিষয়টি।
তামিম বলেন, ‘অবশ্যই যেকোনো ট্রফি দারুণ। কিন্তু আমাদের দলে এমন কয়েকজন ছিলো কিছু তরুণ খেলোয়াড় মিরাজ বলেন বা সৌম্য বলেন। দুইজন সিনিয়র ক্রিকেটার রিয়াদ ভাই, মুশফিক। তারা দেশকে অনেকদিন ধরে সেবা দিচ্ছে। কিন্তু ওরা এই ট্রফিটা এখনো পায়নি। আমার নিজেরই একটা ইচ্ছা ছিলো আল্লাহ যদি আমাদের দেয় (ট্রফি) তাহলে এই ট্রফি তাদের উৎসর্গ করব।’
এদিকে তামিম বলেন, ‘আমি জানি মিরাজ, সৌম্য, তাইজুল তাদের সামনে অনেক সময় আছে অনেক ট্রফি জেতার। আমি জানি না রিয়াদ ভাই ও মুশফিক ভাই (কতদিন খেলবে)। যেভাবে তারা পারফর্ম করেছেন হয়ত চালিয়ে যাবে। অন্যদের মতন এত নয়। এই কারণে প্রেজেন্টেশনের সময় ওদের নিয়ে গিয়েছি। কারণ তারা জেতার কাছাকাছি আগেও গিয়েছিল।’
তামিম বলেন, “আমরা অনেক সময় কৃতিত্ব সবাইকে ঠিকভাবে দেই না। যার যতটুকু প্রাপ্য, কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। এই টুর্নামেন্ট যখন শুরু হয়, তখন আমি মুশফিককে গিয়ে বলি, ‘তুই কি মাঠের ব্যাপারগুলি দেখতে পারবি? বোলিং পরিবর্তন, ফিল্ডিং, এসব দেখবি।’ এটা আমাকে দম ফেলার সুযোগ দিয়েছে, কারণ আমি বাইরের ব্যাপারগুলি দেখছিলাম- কোন ক্রিকেটার আসছে, কোন ক্রিকেটার যাচ্ছে, কী হচ্ছে না হচ্ছে , এসব।”
এদিকে তামিম বলেন, ‘মুশফিক অসাধারণ ছিল। ও এই কাজ করাতে আমার ওপর চাপ অনেক কমে গেছে। নিজের ক্রিকেট ও ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে পেরেছি। আপনারা খেয়াল করে থাকলে দেখেছেন, ওর সম্পৃক্ততা অনেক ছিল। তাকে ধন্যবাদ জানাতেই হবে। এই ট্রফি আমার চেয়ে কারও বেশি প্রাপ্য থাকলে সেটা মুশফিক। কারণ অনেক ভালো কিছু সে করেছে।’